সিঙ্গাপুর স্কিল সেন্টার: ১৪-১৫ লাখ টাকার পেছনের গল্প
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে কাজ করার স্বপ্নে মগ্ন বহু মানুষ। সেই স্বপ্নের অন্যতম ‘দালালি রূপ’ হয়ে উঠেছে Singapore Skill Center নামক সিস্টেম। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন একজন শ্রমজীবী মানুষকে ১৪-১৫ লাখ টাকা খরচ করতে হবে? কই, এর বিরুদ্ধে তো কেউ মুখ খুলছে না!
📌 স্কিল সেন্টার কী?
- সিঙ্গাপুর সরকারের একটি কর্মী নিয়োগ প্রকল্প
- বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেন্টারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান
- প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষা দিয়ে ওয়ার্ক পারমিটে বিদেশ যাত্রা
💰 এত টাকা কেন লাগে?
- স্কিল ট্রেনিং ফি: ১.৫ - ২ লাখ
- মেডিকেল, ডকুমেন্ট প্রসেসিং: ৫০ হাজার
- এজেন্ট ফি (অবৈধভাবে নেওয়া): ৮-১০ লাখ!
- ভিসা, টিকিট, লজিস্টিক খরচ: ২-৩ লাখ
মোট খরচ: ১৪-১৫ লাখ টাকা! অথচ এর কোনো সরকারিভাবে নির্ধারিত তালিকা নেই!
🚨 সিন্ডিকেট: গোপন চক্রের খেলা?
- একটি গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করে কারা সুযোগ পাবে
- টাকা ছাড়া পাশ করানো হয় না
- দালালরা টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়
- ভয়ভীতি ও প্রতারণা—নিয়মিত ঘটনা
“একজন দরিদ্র মানুষ যদি সর্বস্ব বিক্রি করে বিদেশ যেতে চায়, তাহলে সে কেন প্রতারণার শিকার হবে?”
🧾 দায় কার?
- সরকার কি জানে না সিন্ডিকেট কীভাবে চলছে?
- সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কোথায়?
- দূতাবাস কি এসব তথ্য জানে না?
- কেন কেউ প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলে না?
✅ করণীয় কী?
- স্বচ্ছ ফি তালিকা প্রকাশ
- দালাল ও সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে ব্যবস্থা
- সরকারি পর্যায়ে স্কিল ট্রেনিং এবং ভিসা প্রসেসিং
- হেল্পলাইন ও অভিযোগ সেল চালু