ডলার রেট ওঠা-নামার পেছনের যুক্তিসম্পন্ন ব্যাখ্যা
অনেক প্রবাসীর অভিজ্ঞতা—বেতন এলেই ডলার রেট কমে যায়। এটা শুধু কাকতালীয় নয়, এর পেছনে রয়েছে বাস্তব অর্থনৈতিক কারণ। চলুন বুঝে নিই ধাপে ধাপে।
পর্ব ১: ডলার রেট কিভাবে নির্ধারিত হয়?
এক্সচেঞ্জ রেট নির্ধারণ হয় নিম্নোক্ত বিষয়ে:
- দেশীয় রিজার্ভ পরিস্থিতি
- বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও সরবরাহ
- ব্যাংকের নীতিমালা
- আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে ডলারের শক্তিমত্তা
পর্ব ২: মাসিক চাহিদা ও সরবরাহের বাস্তব প্রভাব
প্রবাসীরা মাসের নির্দিষ্ট সময়ে টাকা পাঠান—বিশেষ করে বেতন পাওয়ার পরপর। এতে একসাথে বিশাল পরিমাণ ডলার স্থানান্তরিত হয় এবং সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে:
- চাহিদা কমে যায়
- রেট নামতে থাকে
- কিছু ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ ইচ্ছাকৃতভাবে এই সময়ে রেট কমিয়ে রাখে
পর্ব ৩: আন্তর্জাতিক বাজার ও বৈশ্বিক কারণ
ডলার রেট শুধু দেশের বাজারেই নির্ধারিত হয় না, বৈশ্বিক প্রভাবও রয়েছে:
- FED (US central bank) সুদের হার বাড়ালে ডলার শক্তিশালী হয়
- বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ডলারের চাহিদা বাড়ায়
- বাংলাদেশের আমদানি খরচ বেড়ে গেলে ডলার রিজার্ভ কমে যায়
পর্ব ৪: বাস্তব তথ্য ও তুলনা
উদাহরণস্বরূপ:
- ৫ দিন আগে: ১ SGD = 96.25৳
- আজ: ১ SGD = 93.00৳
১,০০০ SGD পাঠালে এখন ৩,২৫০ টাকা কম পাওয়া যাচ্ছে। এটা ব্যবসায়িকভাবে বিশাল পার্থক্য।
পর্ব ৫: ভবিষ্যতের জন্য করণীয়
রেট নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সময় বুঝে পাঠানো উচিত:
- বেতন এলেই রেট চেক করা
- প্রয়োজনে ১–২ দিন দেরি করে অপেক্ষা করা
- ভালো মানি এক্সচেঞ্জ বা ডিজিটাল অ্যাপে রেট ফিক্সড করা