সিঙ্গাপুরে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সম্প্রতি “TTC ট্রেনিং” বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা নতুন করে সিঙ্গাপুরে আসছেন, তাদের জন্য ট্রেনিং থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ১০–১২ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে কাজ করছেন যেসব অভিজ্ঞ প্রবাসী ভাইয়েরা, তাদেরও কেন এই ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে?

🛑 এটা কি ট্রেনিং, নাকি অপমান?

একজন মানুষ এক যুগ ধরে একটি দেশে কাজ করছেন, নিয়ম মেনে চলেছেন, পরিবার ফেলে প্রতিদিন রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন — তাকে আবার ট্রেনিং করতে বলা মানে কি তার অভিজ্ঞতাকে অসম্মান করা নয়?

এই ট্রেনিংয়ে শেখানো হয় —
🔹 কীভাবে নিরাপদে চলতে হয়
🔹 কীভাবে কাজ করতে হয়
🔹 কীভাবে আচরণ করতে হয়

প্রশ্ন হলো — এগুলো কি ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা একজন প্রবাসী জানেন না?
তারা কি রাস্তায় চলতে জানেন না? কাজ করতে জানেন না?
তাহলে কেন এই “এক সাইজ ফিটস অল” নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে?

💸 যাদের টাকায় দেশের অর্থনীতি টিকে আছে, তারাই আজ অপমানিত!

আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা রেমিট্যান্স পাঠান —
🏦 দেশের ব্যাংকে টাকা আসে
📈 রিজার্ভ বাড়ে
📉 টাকার মূল্য পড়ে না

কিন্তু সেই প্রবাসীদেরই আবার লাইনে দাঁড় করিয়ে শেখানো হয় “কীভাবে আচরণ করতে হয়” — এটা সত্যিই লজ্জাজনক।

⚠️ এইসব গাঁজাখুরি আইন বন্ধ না করলে…

যদি এভাবে হয়রানি চলতেই থাকে —
প্রবাসীরা হুন্ডির দিকে ঝুঁকবে।
সরকারি পথে টাকা পাঠিয়ে যদি সম্মান না মেলে,
তবে মানুষ বিকল্প পথ খুঁজবে —
আর তখনই আসল ক্ষতি শুরু হবে।

👉 দেশকে ভালবাসি বলেই বলছি — এমন নিয়ম প্রবাসীদের থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
প্রবাসীরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, দেশের ক্ষতি কিন্তু কেউ ঠেকাতে পারবে না।

📣 আমাদের দাবি কী?

1. 🔁 পুরাতন প্রবাসীদের জন্য TTC ট্রেনিং বাধ্যতামূলক নয় – এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন।
2. 🙏 অভিজ্ঞতা ও মানুষের মর্যাদার মূল্য দিন।
3. ⚖️ নতুনদের জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং থাকুক — কিন্তু অভিজ্ঞদের অপমান করা যাবে না।
4. 🛑 হয়রানি বন্ধ না হলে — প্রবাসীদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।

🗣️ শেষ কথা

প্রবাসীরা দেশের গর্ব — তাদের সঙ্গে ফাজলামি বন্ধ করুন।
একটি দেশের ভিত গড়ে ওঠে যারা ঘাম ঝরায়, তাদের অসম্মান করে নয়।
আজ যদি চুপ থাকেন, কাল আর কিছু বলার সুযোগ নাও থাকতে পারে।

✍️ লেখক: একজন ক্ষুব্ধ প্রবাসী
🌍 উৎসব: যাদের ঘামে দেশের অর্থনীতি টিকে আছে, তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে আমরা পাশে আছি।

✅ আপনি যদি এই পোস্টের সঙ্গে একমত হন, তাহলে অন্যদের শেয়ার করতে বলুন।

আমাদের আওয়াজই একদিন নীতিনির্ধারকদের কানে পৌঁছাবে।