প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা

প্রবাসীদের জন্য ৪টি মোবাইল ফোন অনুমতি চাই

প্রবাসীদের জন্য ৪টি মোবাইল ফোন অনুমতির জোর দাবি

মানবিকতা ও বাস্তবতার ভিত্তিতে একটি যৌক্তিক আবেদন

ভূমিকা

প্রবাসীরা শুধু অর্থ পাঠান না—তারা দেশে নিয়ে আসেন ভালোবাসা, আত্মত্যাগ আর আশা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রবাসীদের মৌলিক কিছু দাবি আজও উপেক্ষিত। তাদেরই একটি হলো বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৪টি মোবাইল ফোন আনার অনুমতি। বাংলাদেশের লক্ষাধিক প্রবাসীর জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করে।

বর্তমান আইন ও সমস্যাবলি

বর্তমান নীতিমতে, একজন প্রবাসী মাত্র ২টি মোবাইল ফোন আনতে পারেন। তার মধ্যে । কিন্তু বাস্তবে প্রবাসীদের ব্যবহারের জন্যই প্রয়োজন পড়ে একাধিক ফোন—একটি পেশাগত, একটি পারিবারিক। উপহার হিসেবে মা-বাবা, ভাই-বোনের জন্য একটি স্মার্টফোন আনাও একটি আবেগময় দায়িত্ব।

বর্তমান নিয়মে প্রবাসীদেরকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়:

  • পরিবারের সদস্যদের জন্য ফোন আনতে গিয়ে শুল্কের বোঝা
  • কাজের প্রয়োজনে একাধিক ফোন ব্যবহারের অসুবিধা
  • অবৈধ পথে ফোন আনার প্রলোভন
  • সীমিত সংখ্যক ফোন আনতে পারার কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ

আমাদের মূল দাবি

প্রবাসীদের জন্য ৪টি মোবাইল ফোন আনার অনুমতি— এই দাবি বাস্তবসম্মত, মানবিক এবং জাতীয় অর্থনীতির জন্য উপকারী। এটি বাস্তবায়ন করলে প্রবাসীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

এই সিদ্ধান্তের উপকারিতা

পরিবারের সুবিধা

পরিবার-পরিজন আরও উপকৃত হবেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক দৃঢ় হবে এবং প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ রাখা সহজ হবে

অবৈধ প্রবণতা কমবে

চোরাপথে ফোন আনার প্রবণতা কমবে, বৈধ পথে রাজস্ব আদায় হবে এবং সীমান্তে অনিয়ম হ্রাস পাবে

অর্থনৈতিক সুবিধা

সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে, প্রবাসীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়বে

১০০+
দেশে প্রবাসী
২৫০০+
কোটি টাকা রেমিট্যান্স
৯০%
প্রবাসীর সমর্থন
৪টি
ফোনের দাবি

“প্রবাসীরা কেবল অর্থ নয়, ভালোবাসা আর আশার বার্তাও দেশে ফেরে। তাদের এই ছোট্ট দাবিটি পূরণ হলে দেশের অর্থনীতিও লাভবান হবে।”

– প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে

প্রবাসীদের অভিজ্ঞতা

“আমি সৌদি আরবে কাজ করি। পরিবারের সদস্যদের জন্য ফোন আনতে গিয়ে প্রতিবারই সমস্যায় পড়তে হয়। ৪টি ফোনের অনুমতি পেলে আমাদের মতো লক্ষাধিক প্রবাসীর জীবন সহজ হবে।”
মোহাম্মদ রফিক

মোহাম্মদ রফিক

সৌদি আরব প্রবাসী

“আমি মালয়েশিয়ায় থাকি। কাজের প্রয়োজনে আমার দুইটি ফোন প্রয়োজন, আর পরিবারের জন্য আরও দুইটি ফোন আনতে চাই। বর্তমান নিয়মে এটি সম্ভব নয়।”
আয়েশা আক্তার

আয়েশা আক্তার

মালয়েশিয়া প্রবাসী

“প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখে। আমাদের এই ছোট্ট দাবিটি সরকার বিবেচনা করলে সত্যিই ভালো হয়।”
করিমুল ইসলাম

করিমুল ইসলাম

সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

বর্তমানে একজন প্রবাসী কয়টি মোবাইল ফোন আনতে পারেন?

বর্তমান নীতিমতে, একজন প্রবাসী মাত্র ২টি মোবাইল ফোন আনতে পারেন,।

৪টি ফোনের অনুমতি চাওয়ার কারণ কী?

প্রবাসীদের কাজের প্রয়োজনে একাধিক ফোন প্রয়োজন হয়। এছাড়া তারা তাদের পরিবার-পরিজনের জন্যও ফোন আনতে চান। বর্তমান ২টির সীমাবদ্ধতা তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে।

এই পরিবর্তন সরকারের জন্য কীভাবে উপকারী?

এটি অবৈধ পথে ফোন আমদানী কমাবে, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং প্রবাসীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে যা রেমিট্যান্স প্রবাহকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।

উপসংহার

এই দাবি কোনো বিলাসিতা নয়, বরং এটি বাস্তবিক, মানবিক এবং জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে যুক্তিসঙ্গত একটি আবেদন। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার প্রবাসীদের এই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে সম্মান ফিরিয়ে দেবেন। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি, তাদের এই ছোট্ট দাবিটি পূরণ হলে তা দেশ ও প্রবাসী উভয়ের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।

এই দাবিতে সমর্থন দিন

আমাদের পিটিশনে সই করে এই দাবিকে শক্তিশালী করুন


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *