হঠাৎ পুলিশ এত ভালো হয়ে গেল? নাকি এটা তাদের ফাঁদ?
“আপনি দুই জায়গার একটায় থাকবেন— হয় কবরে, নয় আয়নাঘরে!“
Example Link
Visit sgprobashi.siteInternal Link
Learn More About UsExample Images
একটু থামেন!!
আপনার তো জ্ঞান নেই, কিছু জ্ঞান নিয়ে যান—প্রায় বেঁচে যাবেন!
আজ বাংলাদেশ পুলিশ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে, যেখানে তারা আন্দোলন সম্পর্কিত সব ভিডিও চেয়েছে। আর আপনারাও নির্বোধের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছেন! একটু ভাবুন, এটা যে একটা ফাঁদ নয়, তার গ্যারান্টি কী?
পুলিশের অতীত কর্মকাণ্ড কি ভুলে গেছেন? যারা কয়েক মাস আগেও ছাত্রদের বুক ঝাঁঝরা করেছিল, তারাই এখন আন্দোলনের ভিডিও চাচ্ছে। কেন? কার স্বার্থে? আপনি যদি এই ফাঁদে পা দেন, ভবিষ্যতে এর খেসারত আপনাকেই দিতে হবে।
কেন ফাঁদ বলছি? নিচে ব্যাখ্যা করলাম—
১. আপলোড সীমাবদ্ধতা – এত কৃপণতা কেন?
তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন মাত্র ৫টি ছবি বা ভিডিও আপলোড করা যায়। এখন প্রশ্ন হলো, আনলিমিটেড আপলোডের সুযোগ দিলে সমস্যা কী?
সরকারি প্রজেক্টের জন্য তো বিশাল হোস্টিং সুবিধা থাকার কথা! তাহলে মাত্র ৫টি ফাইলের সীমাবদ্ধতা কেন?
- এটা কি শুধু “শো-অফ” করার জন্য?
- নাকি উদ্দেশ্য হলো সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে টার্গেট করে তথ্য সংগ্রহ করা?
- সরকারের কাছে কি আসলেই প্রয়োজনীয় হোস্টিং স্টোরেজ নেই? 😄
এটা সন্দেহজনক।
২. লোকেশন পারমিশন – এত আগ্রহ কেন?
যে মুহূর্তে আপনি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন, তখনই লোকেশন পারমিশন চাইবে। কিন্তু কেন?
- আন্দোলনের ভিডিও দরকার বলছেন, তাহলে লোকেশন নেওয়ার দরকার কী?
- তারা কি নির্দিষ্ট আন্দোলনকারী বা স্থান টার্গেট করতে চাচ্ছে?
আপনি যদি VPN দিয়ে লোকেশন বদলান, তাহলে কি নিরাপদ?
- VPN দিয়ে লোকেশন সিঙ্গাপুর সেট করলেই কি সমস্যার সমাধান?
- নাকি এর পেছনেও অন্য কোনো ফাঁদ লুকিয়ে আছে?
৩. নাম্বার ভেরিফিকেশন – আসলেই কেন লাগবে?
ভিডিও আপলোড করতে গেলে মোবাইল নাম্বার দিয়ে OTP ভেরিফিকেশন করতে হবে। কিন্তু এই ভেরিফিকেশনের উদ্দেশ্য কী?
- সাধারণত, OTP ভেরিফিকেশন করা হয় নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু এখানে ভিডিও আপলোডের জন্য নাম্বার দরকার কেন?
- আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে তারা সহজেই জানতে পারবে আপনার লোকেশন, আপনার টেলিকম অপারেটর এবং আপনি কোন টাওয়ারের অধীনে আছেন।
- VPN দিলেও মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করা সম্ভব, কারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক সরাসরি ISP (Internet Service Provider) ও টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত।
এর মানে, আপনি কোন এলাকার বাসিন্দা, কোন টাওয়ারের সংযোগ ব্যবহার করছেন—এসব তথ্য সরকার সহজেই পেয়ে যাবে। ভবিষ্যতে এসব তথ্য আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে।
তাহলে আমি চোরের মতো আচরণ করছি কেন?
কারণ আমি বাস্তবতা বুঝতে পারছি!
ভাই, ভুলে যাবেন না ৬ মাস আগেও এই পুলিশই আন্দোলনকারীদের উপর চরম নির্যাতন চালিয়েছিল। এখন হঠাৎ করে তারা নিরপেক্ষ হয়ে গেল? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?
আপনার মনে হচ্ছে, আপনি সত্যের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন, বিচার চাইছেন। কিন্তু সত্যিটা হলো—
- বড় মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তি, আইনজীবী বা সাংবাদিকরা এসব সংগ্রহ করুক, তাদের দায়িত্ব নিতে দিন।
- আপনার ভিডিও আপলোড করার দরকার নেই। বরং আপনি যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে আপনার নামই টার্গেট লিস্টে চলে আসবে।
আপনার কি মনে হয়, এত বড় বড় অপরাধের ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে নেই?
- তাদের কাছে হাজারো প্রমাণ আছে, কিন্তু তারা কি এসবের বিচার করছে?
- আপনার ছোট্ট একটা ভিডিও দিয়ে কিছু হবে? না বরং আপনার নামই নজরদারির তালিকায় চলে যাবে!
সরকার পরিবর্তন হলে কী হবে?
আপনি দুই জায়গার একটায় থাকবেন— হয় কবরে, নয় আয়নাঘরে!
- বর্তমান সরকার থাকলে আপনি হয়রানির শিকার হতে পারেন।
- সরকার পরিবর্তন হলে, আগের সরকারের হয়ে কাজ করার অভিযোগে আপনাকেই বিপদে ফেলা হতে পারে!
এখন সিদ্ধান্ত আপনার—
- হুটহাট ভিডিও আপলোড করবেন?
- নাকি মাথা ঠান্ডা রেখে বুঝেশুনে পদক্ষেপ নেবেন?
শেষ কথা— সাইবার জগতে সাবধান থাকুন!
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগের বশে কিছু পোস্ট করা বা শেয়ার করা সহজ, কিন্তু ভবিষ্যতে সেটার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।
হুট করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। আগে ভাবুন, তারপর কাজ করুন। সচেতন থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
ধন্যবাদ।
SG Probashi
Passionate about technology, development, and creating innovative solutions. Enthusiastic about building mobile apps, exploring new tech trends, and engaging with the global community through social media. Always learning and evolving to bring value to my audience.